রাজশাহীতে তিন বছর পর একটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঠুনকো ঘটনায় ২০২১ সালের ১৩ জুলাই রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার পূর্ব ধোপাপাড়া কারিগরপাড়া মাঠে আতেকা বেগম (৫০) নামের ওই নারীকে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের তিন বছর পর ১৩ মে উত্তম কুমার সরকার (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরদিন তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার উত্তমের বাড়িও পূর্ব ধোপাপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত সন্তোস কুমার সরকার।
আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাজশাহী জেলা ও মহানগর পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আতেকা হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর ছেলে আতিকুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। রাজশাহী পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান মামলাটির তদন্ত করছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের দুই মাস আগে আতেকার জমির ওপর দিয়ে ট্রলি গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণে আতেকা বেগম তাঁকে গালিগালাজ করেন। তখন থেকেই আতেকাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন উত্তম। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই বিকেলে ধোপাপাড়া কারিগরপাড়া মাঠে ছাগল চরাতে যান আতেকা। সেখানে তাঁকে দেখতে পেয়ে উত্তম বাঁশের মুগুর দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। এতে আতেকা পড়ে গেলে তাঁর হাতে থাকা হাঁসুয়া কেড়ে নিয়ে গলা কেটে দেন। এ সময় আতেকা মারা গেলে উত্তম পালিয়ে যান। পরদিন আতেকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এত দিন রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি।
মনিরুল ইসলাম জানান, ১৩ মে পুঠিয়ার মোল্লাপাড়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে উত্তম কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি এই খুনের দায় স্বীকার করেন। পরদিন তাঁকে আদালতে তোলা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান বলেও জানান পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা।