হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

রামেক হাসপাতাল: ঘুষি মেরে আনসার সদস্যের নাক ফাটাল অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সদস্যরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আহত আনসার সদস্য। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের সদস্যরা ঘুষি মেরে এক আনসার সদস্যের নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন অ্যাম্বুলেন্সচালককে আটক করে।

আহত আনসার সদস্যের নাম ফিরোজ সরকার। আটক তিনজন হলেন ভাড়ায় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সচালক রজব, আব্দুল্লাহ ও মারুফ। ঘটনার পর অভিযান শুরু হলে অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেটের মূল হোতা আল মামুন রাব্বুল, বাদশা, ডালিম ও আলিম গা ঢাকা দিয়েছেন।

আনসার সদস্যরা জানান, দুপুরে হাসপাতালের ৪ নম্বর ফটকে দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ সরকার। এই ফটক দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ নিষেধ। তারপরও একটি অ্যাম্বুলেন্স ৪ নম্বর ফটক দিয়ে ঢুকে পড়ে। ফিরোজ বাধা দিলেও অ্যাম্বুলেন্সটি সোজা জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে রোগী তুলতে শুরু করে। পেছনে পেছনে ফিরোজ সেখানে গিয়ে এভাবে জোর করে ঢুকে পড়ার কারণ জানতে চান। এ সময় তাঁর সঙ্গে তর্ক শুরু করেন ওই অ্যাম্বুলেন্সচালক।

তখন পাশ থেকে আরও এক অ্যাম্বুলেন্সচালক এসে ওই আনসার সদস্যকে ঘুষি মেরে বসেন। এতে নাক ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে ফিরোজের। পরে অন্য আনসার সদস্যরা এসে দুজনকে ধরে ফেললেও অন্য অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা এসে তাঁদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান। এ নিয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছবি: আজকের পত্রিকা

অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা হাসপাতালের বাইরে গিয়ে রাস্তার পাশে লাঠিসোঁটা ও হাঁসুয়া নিয়ে অবস্থান নেন আর আনসার সদস্যরা অবস্থান নেন হাসপাতালের সামনে। এর মধ্যে খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র‍্যাব সদস্যরা চলে আসেন। তাঁরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেন।

প্রসঙ্গত, রামেক হাসপাতাল ঘিরে বহিরাগত অ্যাম্বুলেন্সচালকদের সিন্ডিকেট খুবই বেপরোয়া। অভিযোগ রয়েছে, এই সিন্ডিকেট রোগী ও মরদেহ জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন সে দলের স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। বর্তমানে এ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন আল মামুন রাব্বুল, বাদশা, ডালিম ও আলিম নামের চারজন। এ সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধের জন্য সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম শামীম আহম্মদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেন। এ ছাড়া বিভাগীয় কমিশনার, নগর পুলিশের কমিশনার, র‍্যাব-৫-এর অধিনায়কের কাছেও চিঠি দেন তিনি।

আনসার সদস্যের নাক ফাটানোর ঘটনার বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, ‘বহিরাগত এই অ্যাম্বুলেন্সচালকেরা খুবই বেপরোয়া। তাদের মধ্যে কোনো রকম মানবিক মূল্যবোধ নেই। তারা রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে থাকে। এটা নিয়ে সম্প্রতি আমি বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছি। এরই মধ্যে এমন ঘটনা ঘটল। তিনজন ধরা পড়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। যে অ্যাম্বুলেন্সটির ঢুকে পড়া নিয়ে ঘটনা, সেটি জব্দ করে নিয়ে গেছে পুলিশ।’

মৎস্যজীবী পরিচয়ে পুকুর ইজারা যুবলীগ নেতার

সেলিম রেজার মনোনয়নে কনকচাঁপার ‘আলহামদুলিল্লাহ’

কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা বাদ, বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সেলিম

ঈশ্বরদীর মা কুকুরকে দেওয়া হলো দুই ছানা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে বরখাস্ত, পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত, মহাসড়ক অবরোধ

রাজশাহীর রাজবাড়ি ভাঙার কাজ বন্ধ করল প্রশাসন

সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ রাখার হুমকি দেওয়া যুবশক্তির দুই নেতাকে অব্যাহতি

রাজশাহীর ১১ পয়েন্টে পুলিশের ফোর্স মোবিলাইজেশন ড্রিল

রাজশাহীতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো রাজবাড়ী