হোম > সারা দেশ > রাজশাহী

ডা. কাজেমের খুনিরা ধরা পড়েনি, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহেও ধরা পড়েনি রাজশাহীর যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমেদের খুনিরা। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, সেটিও উদ্‌ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এ অবস্থায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আজ রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা এই হুঁশিয়ারি দেন। 

বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতির অংশ হিসেবে এই সমাবেশ করেন তাঁরা। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) রাজশাহী শাখা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। আগের দিন শনিবারও এক ঘণ্টা হাসপাতালের সামনে একই কর্মসূচি পালিত হয়। সমাবেশ থেকে তাঁরা ডা. কাজেমের খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

সমাবেশে রামেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ বড় বড় অপরাধীদের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে ফেলতে পারে। কিন্তু ডা. কাজেমের খুনিদের এক সপ্তাহেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে চিকিৎসক সমাজ উদ্বিগ্ন। তারা ভীতসন্ত্রস্ত। চিকিৎসক সমাজ কাজ ফেলে মাঠে নামলে কিন্তু ভালো হবে না।’ 

বিএমএর রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি একজন অ্যানেসথেসিওলজিস্ট। সিজারিয়ান অস্ত্রোপচারের জন্য রাত-বিরাতে রিকশা নিয়েই চলে আসতাম। এখন আসি না। আমাদেরও প্রাণের ভয় আছে। এ অবস্থা তো চলতে পারে না। খুনিদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে হবে। তা না হলে আমাদের আতঙ্ক কাটবে না। এর প্রভাব পড়বে রোগীদের ওপর।’ 

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) রাজশাহীর সভাপতি ডা. চিন্ময় কান্তি দাস বলেন, ‘একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। রাষ্ট্রের অনেক টাকাও খরচ হয়। এই মেধাবী চিকিৎসক রাষ্ট্রের সম্পদ। তাই তাদের এভাবে মেরে ফেলাটা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতির কারণ। এটা যেন আর না হয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এই রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হবে।’ 

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএর রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক ডা. নওশাদ আলী। তিনি বলেন, ‘ডা. কাজেম যে দলেরই সমর্থক হন না কেন, তিনি একজন চিকিৎসক। তাঁকে হত্যা করা চিকিৎসকসমাজ মেনে নেয়নি।

‘হত্যাকারী যে-ই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। এবার সিটি মেয়রের সঙ্গে দেখা করব। দ্রুতই খুনিরা গ্রেপ্তার না হলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখা কিংবা আরও বেশি সময় ধরে কর্মবিরতি পালন করার কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বিএমএ রাজশাহীর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ডা. আহমেদ আসিফ ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ ডা. হাফিজুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহমেদ মাসিয়া জামিল অরুপ, রামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. হাসান তারিক, যৌন ও চর্মরোগ বিভাগের প্রধান ডা. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন ডা. অংকুর স্যানাল। 

জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ১২টার দিকে চেম্বারে রোগী দেখা শেষ করে ফেরার পথে খুন হন যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম কাজেম আলী আহমদ। তিনি একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। শিক্ষকতা ছেড়ে দেওয়ার পর বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে শুধু প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার সময় তিনি ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

ডা. কাজেম যে রাতে খুন হন, সেই একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নগরীর চন্দ্রিমা থানার কৃষ্টগঞ্জ বাজারের পল্লিচিকিৎসক এরশাদ আলী দুলালকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে সিটিহাট এলাকায় তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। 
একই দিনে এই দুই চিকিৎসক খুনের ঘটনায় মামলা হলেও কোনো রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়নি। 

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, দুটি খুনের ঘটনাই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। খুব দ্রুতই খুনিদের শনাক্ত করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাবি শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

ওসমান হাদি ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করতেন: তারেক রহমান

রাবির ৬ ডিনের পদত্যাগ দাবি: ভিসি, প্রো-ভিসির দপ্তরে তালার পর সভা, সিদ্ধান্ত রাতে

শিশু সাজিদের পরিবারকে অনুদান দিল জামায়াত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় কলেজছাত্র নিহত

দুই ধান ব্যবসায়ীর ১০ লাখ টাকা ও কৃষকের তিনটি গরু চুরি

রাবিতে ৬ ডিনের চেম্বারে তালা, দায়িত্ব ছাড়তে রাজি হয়েছেন বলে জানালেন জিএস আম্মার

‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ কর্মসূচি ঘোষণা রাকসুর জিএস আম্মারের

রাজশাহীতে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা