মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে একটি অশ্লীল ভিডিওকলের রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের মুখ। সেটি মিথ্যা দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়ানোর অভিযোগে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নিজে বাদী হয়ে এ মামলা করেন ডাবলু সরকার।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে আসামি হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কে বা কারা তাঁকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে এডিট করা অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে সম্মানহানির চেষ্টা করছে। একটি অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে এটি ছড়ানো হয়েছে। ওই অনলাইন পোর্টালে লেখা আছে, একজন নারীর সঙ্গে তাঁর আপত্তিকর ভিডিও গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ‘ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার কথা ওই অনলাইন পত্রিকায় লেখা থাকলেও এখন পর্যন্ত ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা কেউ নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে মিথ্যা প্রচার করে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডাবলু সরকার একটি মামলা করেছেন।’
ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ডাবলু সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিডিওটি এডিট করা।’ তিনি বলেন, ‘ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তার শরীরের ওপরের অংশ আমার। আমি অনেক সময় জিমে খালি গায়ে থাকি। সেখান থেকে ভিডিওটি নিয়ে অন্য এক ব্যক্তির শরীরের নিচের অংশের সঙ্গে জোড়া দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি মামলা করেছি। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’