নাটোরের বড়াইগ্রামে মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব উদ্দিনের (২৮) বিরুদ্ধে মারধর করে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনতাইয়ের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার গোয়ালফা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম মোল্লা (৩৬) বাদী হয়ে শিহাব উদ্দিন, রসুল ইসলাম (৪৫) এবং আরও সাত-আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিন তিরাইল গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে।
ভুক্তভোগী খাইরুল ইসলাম মোল্লা গোয়ালফা গ্রামের বাসিন্দা এবং তিনি মৌখাড়া হাটের ইজারাদার ও পুরোনো মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করেন।
খাইরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাতে একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করে তিনি আরেকটি মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। গোয়ালফা গ্রামের আজিজুল ইসলামের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার ওপর শিহাব উদ্দিনসহ ১০-১২ জন লোক তাঁর পথরোধ করে।
খাইরুল বলেন, ‘তারা আমাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এ সময় আমার কাছে থাকা ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।’
খাইরুল ইসলামকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি জানান, মারধরের কারণে তাঁর মাথায় সেলাই লেগেছে, ডান হাত ভেঙে গেছে এবং বাঁ হাতেও আঘাত লেগেছে। ভুক্তভোগী নিজেকে বিএনপির একজন কর্মী বলে দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডলি রানী বলেন, খাইরুল ইসলাম মোল্লা নামের এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্ত শিহাব উদ্দিন তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বিষয়টি জানা নাই। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।’