গুরুদাসপুর (নাটোর): করোনাকালে পরিবার নিয়ে কষ্টে থাকা বাউল নিত্যানন্দ এবং তাঁর সঙ্গে থাকা আরও আটটি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন।
অভাব–অনটনে থাকা এই বাউলদের নিজস্ব কোনো ঠিকানা নেই। বর্তমানে গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে তাঁদের বসবাস। গত সোমবার রাতে তাদের বাড়িতে গিয়ে ওই খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনে গানের আসর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে চরম অর্থকষ্টে পড়েন বাউল নিত্যানন্দসহ তাঁর সঙ্গে থাকা আটটি পরিবার। তাঁদের বর্তমান জীবনের দুঃখ–কষ্টের কথা ইউএনওকে জানালে ইউএনও নিত্যানন্দসহ তাঁর সঙ্গে থাকা আটটি পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহারসামগ্রী পৌঁছে দেন।
নিত্যানন্দ বাউল বলেন, `গত বছর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে গানের আসর বন্ধ হয়ে যায়। শুরু হয় নিদারুণ কষ্টের দিন। এ বছরের জানুয়ারিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও নতুন করে লকডাউনে পরিবার নিয়ে চরম সংকটে পড়েছিলাম। আমাদের কষ্টের কথা শুনে উপজেলা প্রশাসন থেকে খাদ্যসহযোগিতা করা হয়েছে। আশা করি অনেক দিন চলে যাবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেন, নিত্যানন্দ বাউল এবং প্রায় আটটি বাউলপরিবার একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গানবাজনা করত। করোনার কারণে তাদের গানবাজনা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ ছিল গান। করোনার সংক্রমণ এবং লকডাউনে আর্থিক সংকটে পড়ার খবর তাদের কাছে শুনে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। নিত্যানন্দের বিনয়ী কথাবার্তা মুগ্ধ করেছে। করোনায় আর্থিক কষ্টে থাকলেও মলিন মুখে সুন্দর করে কুশল বিনিময় করেছেন তিনি। সংসারের আর্থিক দুরবস্থার কথা জেনে তাঁর প্রতি ভালোবাসার উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসহায়তা তাঁদের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে।