বাংলাদেশ রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, সারা দেশে রেলের ২৩ হাজার একরের বেশি জমি বেদখল হয়ে আছে। অনেক লোক আছে, যারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে রেলের জমি বেদখল করে রেখেছে। বেদখলে থাকা জমি উচ্ছেদে অভিযান করছে রেল কতৃর্পক্ষ। রেলের জমি উদ্ধারে কাউকে একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া যাবে না।
আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে রাজবাড়ী পাংশা উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে পাংশা রেলস্টেশন এলাকায় রেলওয়ে ভূমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়। সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলা প্রশাসন এর আয়োজন করে।
এ সময় উপস্থিত স্থানীয়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের জমি যদি কেউ ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দখল করতে যায়, আপনি দখল করতে দেবেন? কেউ দেবেন না। মারামারি করে হোক, ধরাধরি করে হোক, মামলা করে হোক, যেভাবেই হোক, আপনার জমি আপনি দখল করতে দেবেন না। এটা আপনার অধিকার। তেমনি রেলেরও অধিকার তার জমি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমি ফিরিয়ে নেওয়া। আপনারা অবৈধভাবে জমি দখল না করে, বৈধভাবে লিজ নিয়ে ভোগ করেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই।’
রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে, দেশকে উন্নত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। এ সময় রেলওয়ে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একটু সময় দিয়ে আপনারা সবার কাগজপত্র দেখে ভালো ভাবে যাচাই-বাছাই করে যাদের অবৈধ কাগজপত্র, তাদের স্থাপনা ভাঙবেন। অযথা কারও স্থাপনা ভাঙবেন না। রেলের জমি উদ্ধারে কাউকে একবিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া যাবে না।’
মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী। এ মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফরিদ হাসান (ওদুদ), উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান রুবেল।