ফরিদপুরের ভাঙ্গায় চলমান আন্দোলনের কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। সে সঙ্গে ঘাটসংকট ও পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় ফেরি চলাচলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। ফেরি পার হতে দৌলতদিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক শ যানবাহন। দীর্ঘ সময় যানবাহনে থেকে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও চালকেরা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, প্রচণ্ড স্রোত থাকায় পদ্মায় ফেরি চলাচলে আগের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লাগছে। সাতটি ঘাটের মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা করছে। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিন কিলোমিটার এলাকায় যাত্রিবাহী পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাকের সিরিয়াল রয়েছে।
ফরিদপুর থেকে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের যাত্রী সাথি আক্তার বলেন, ‘দুপুরে ফরিদপুর থেকে ফেরিঘাটে এসেছি। এখন বিকেল ৪টা বাজে, এখনো ঘাট থেকে অনেক দূরে রয়েছি। ফেরিতে উঠতে আরও ঘণ্টাখানেক সময় লাগবে।’
হালিম বিশ্বাস নামের আরও এক যাত্রী বলেন, ‘নাতিকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছি। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গোলমাল হচ্ছে। যে কারণে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাচ্ছে না। এ জন্য গাড়ি দৌলতদিয়া ফেরিঘাট হয়ে যাচ্ছে। দুই ঘণ্টা হলো জ্যামে বসে আছি।’
যশোর থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক ফজলু মোল্লা বলেন, ‘ফেরিঘাট সব সময় ফাঁকা থাকে। আজ দেখছি খুব জ্যাম। ফরিদপুর হয়ে গাড়ি ঢাকায় যেতে পারছে না। যে কারণে দৌলতদিয়া হয়ে আসছে। আমি ঘণ্টা তিনেক ধরে বসে আছি।’
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন জানান, ফরিদপুরে চলমান আন্দোলনের কারণে ঘাট এলাকায় যানবাহনের সারির সৃষ্টি হয়েছে। দৌলতদিয়ায় সাতটি ঘাটের মধ্যে দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন ফেরিতে ওঠানামা করছে। এ নৌরুটে বর্তমানে ছোট-বড় মিলে মোট ১৩টি ফেরি চলাচল করছে।