পটুয়াখালীতে এক যুবকের বিরুদ্ধে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দাদিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তাঁর স্বজনেরা দাবি করেছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবক আল আমিন (২৭) পলাতক। তিনি ওই গ্রামের আবদুর রাজ্জাক খানের ছেলে।
নিহত দুই নারী হলেন সহিদা বেগম (৪৮) ও শতবর্ষী বৃদ্ধা কুলসুম বিবি। তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন আগে আল আমিন তাঁর নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তাঁকে তিন-চার দিন আগে খুঁজে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আল আমিনকে পাবনার মানসিক হাসপাতালে নেওয়ার জন্য আজ দুপুরে তাঁর বড় ভাই পরিচয়পত্রের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কাছে যান। তাঁর বাবা কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এই ফাঁকে আল আমিন তাঁর বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দাদিকে ঘরে পেয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করেন।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা দুই নারীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটকের চেষ্টা চলছে।