পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় যাতায়াতের সড়ক বেহাল হওয়ায় মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয়রা।
সরেজমিনে জানা গেছে, কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। ভেঙে গেছে অনেক স্থানে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। সড়কের পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ পায় দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই সড়কে উচ্চ আদালতের রিটের কারণে সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে জানা গেছে, প্রায় ২২ কিলোমিটার সড়কটির পাখিমারা বাজার থেকে শেখ রাসেল সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় সংস্কার কাজের দরপত্র আহ্বান করা হবে। বাকি অংশ দ্রুত সংস্কারের কাজ হাতে নেবে কর্তৃপক্ষ।
পাখিমারার বাসিন্দা স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক চিন্ময় সরকার বলেন, ‘কলাপাড়া থেকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। সড়ক খারাপ হওয়ায় ভোগান্তি পেরিয়েই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেতে হয় পর্যটকদের। কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার দূরত্ব ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৬ কিলোমিটার সড়ক কিছুটা ভালো। বাকি ১৬ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা।’
সড়কে চলাচলকারী মায়ের দোয়া নামের একটি বাসের চালক হিমেল বলেন, ‘পাখিমারা বাজার থেকে আলীপুর থ্রিপয়েন্ট পর্যন্ত সড়কটির অবস্থা একেবারেই নাজেহাল। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
আগে কুয়াকাটায় খুব সহজে আসা-যাওয়া করা যেত বলে জানান ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মিথুন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সড়কে অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। এখানে আসতে গিয়ে এখন পিঠে যন্ত্রণা করেছে। সরকারের কাছে আবেদন করছি দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার জন্য।’
পটুয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এম আতিক উল্লাহ বলেন, ‘সড়কটির ১১ কিলোমিটার অংশের সংস্কার কাজে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সম্প্রতি হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অপসারিত হওয়ায় শিগগিরই সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে।’