মহান মে দিবসসহ সরকারি তিন দিনের ছুটিতে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় ভিড় করেছেন পর্যটকেরা। বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার ৯০ শতাংশ হোটেল–মোটেল। বিক্রি বেড়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে।
আজ বৃহস্পতিবার সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকেরা সৈকতে হইহুল্লোড়ে মেতেছেন। অনেকে দলবেঁধে নোনা জলে গা ভাসিয়ে উচ্ছাসে মেতেছেন। অনেকে আবার ঘোড়া, ওয়াটার বাইক কিংবা মোটরবাইকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চে বসে সমুদ্রের তীরে আছড়ে পড়া ঢেউসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তায় মাঠে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা–পুলিশ ও নৌ-পুলিশের তৎপরতা রয়েছে।
খুলনা থেকে আসা পর্যটক দম্পতি ফারজানা-সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টানা তিন দিন ছুটি থাকায় মেয়ের বায়না। তাই কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। গতকাল রাতেই এসেছি। সকাল থেকে বিভিন্ন স্পটগুলো ঘুরে দেখেছি। মেয়েটা অনেক আনন্দ পেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তা-ঘাট আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। কিন্তু সৈকতের সৌন্দর্য আগের থেকে অনেক নাজুক। সেই সঙ্গে খাবার হোটেলের খাবারের মান ও দাম নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে।’
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট ও ইলিশ পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, টানা তিন দিনের ছুটিতে কুয়াকাটা সৈকতে উল্লেখযোগ্য পর্যটকের আগমন হয়েছে। বেশির ভাগ হোটেল-মোটেলগুলো আগে থেকে বুকিং হয়ে গেছে।
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় কুয়াকাটা সৈকতসহ পর্যটন স্পটগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ছাড়া নৌ-পুলিশ ও মহিপুর থানা–পুলিশের সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।