বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী এলাকার দুই ট্রলারের জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাত জেলে আহত হন।
এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে রাঙ্গাবালী থানায় জেলে ট্রলারের মালিক জসিম হাওলাদারের ছেলে তছলিম হাওলাদার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী জেলেরা জানান, সোনারচরের নিকটবর্তী শিবচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জাল পেতে মাছ ধরছিলেন উপজেলার সদর ইউনিয়নের গঙ্গিপাড়া গ্রামের জসিম হাওলাদারের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেরা। এ সময় তাঁদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছ ধরা পড়ে। যা দেখে চরমোন্তাজের নাজমুল হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলেরা সেখানে গিয়ে জাল পাতেন। একইস্থানে জাল পাতা নিয়ে জসিম ও নাজমুলের জেলেদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রাতে তাঁরা সংঘর্ষে জড়ায়।
এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন খান (৬০), সবুজ হাওলাদার (৪০) ও ইব্রাহিম ফকিরসহ (৩৫) সাতজন আহত হন।
সংঘর্ষে আহত জসিম হাওলাদারের ট্রলারের মাঝি নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘দুই তিন দিন ধরে ওই বোট (ট্রলার) গিয়ে আমাদেরকে মাছ ধরতে দেখে। ঘটনার দিন রাতে এসে আমাদের সামনে এসে খেয়ো (জাল পাতে) দেয়। আমরা জিজ্ঞেস করতে গেলে আমাদেরকে অনেক মারধর করে। পরে আমরা সেখান থেকে চলে আসি। কিছুক্ষণ পর আরও একটি বোট নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করে বোটে যা আছে, সব নিয়া গেছে। এ সময় আমার হাতে দা দিয়ে কোপ দেয় এবং আমিসহ সাত জেলেকে পিটিয়ে আহত করে।’
এ ব্যাপারে চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজান বলেন, দুই বোটের জেলে আহত হওয়ার খবর শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।