পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল গ্রামে চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে রহিম জোমাদ্দার (৫৭) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তাঁর দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন। গত বুধবার (১১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলায় আহত রহিম গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরওয়াডেল গ্রামের জোমাদ্দারবাড়ির পেছনের চলাচলের পথ নিয়ে কামাল হাওলাদার ও রহিম জোমাদ্দারের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মাগরিবের নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে রহিম জোমাদ্দারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় প্রতিপক্ষ।
অভিযোগে বলা হয়, কামাল হাওলাদার, তাঁর ছেলে রিয়াজ, সারোয়ার, বাহাদুর এবং আত্মীয় কিরণ ও রুবেল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রহিম জোমাদ্দার, তাঁর ছেলে হাসান জোমাদ্দার (২৪) ও রিয়াজ জোমাদ্দারের (২৭) ওপর হামলা চালান। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে রহিম ও হাসানকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রহিম জোমাদ্দারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে মহসিন জোমাদ্দার বলেন, ‘চলাচলের পথ নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবার ওপর হামলা করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বাবার হত্যার বিচার চাই এবং খুনিদের ফাঁসি চাই।’
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। কামাল হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে তালা ঝুলছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’