হোম > সারা দেশ > পটুয়াখালী

পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে পটুয়াখালীতে প্রধানমন্ত্রী

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা ও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্থাপিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে পটুয়াখালীর পায়রায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

আজ সোমবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পায়রায় অবতরণ করে। এসময় তাঁকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের জন্য দুই বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জেলা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এ সফরকে ঘিরে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র এলাকায়। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ইতিমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে। যেহেতু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো নির্মূল হয়নি, সে কারণে জনসমাগম এড়িয়ে অনুষ্ঠান করার বিষয়টি মাথায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ জন্য কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াদের করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় যাদের নেগেটিভ আসবে, তাঁরাই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে মন্ত্রিপরিষদের অন্তত ২০ জন সদস্য, সংসদ সদস্যরা, ৩০ জনের বেশি সচিব এবং বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতেরা উপস্থিত থাকবেন। এই সুধী সমাবেশ থেকেই তিনি সারা দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা দেবেন।

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ বিনিয়োগে নির্মিত পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে। বর্তমানে দুই ইউনিট থেকেই মোট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি চি পিং পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পের প্রথম অংশের আওতায় নির্মিত দুটি ইউনিটে সর্বাধুনিক আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। এ ছাড়া এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অত্যাধুনিক ঢাকনাযুক্ত কোলডোম ব্যবহার করেছে, যার কারণে পরিবেশের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে না।

তবে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে কয়েক দফা ব্যয় বাড়ে। সর্বশেষ ২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করলেও তা থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার কম খরচ হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আরও ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর নাগাদ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এটি নির্মাণ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে পায়রা থেকে মোট ২ হাজার ৬৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া: এক রাখাইন পরিবারের ৪০ একর জমি দখল

দল মনোনয়ন দিল পটুয়াখালী-১, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা দিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনে

বিএনপির মনোনয়ন বিরোধে বাউফলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছেই

দশমিনায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

পবিপ্রবিতে শুরু হলো প্রিমিয়ার লিগ

আশ্রয়ণের ঘর নিয়ে দুই নারীকে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ ইউএনওর গাড়িচালকের বিরুদ্ধে

যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ১২ মণ শাপলাপাতা মাছ জব্দ

ভালো নেই দশমিনার নৌকা তৈরির কারিগরেরা

কারখানা নদীর ভয়াল থাবায় বাউফলে হাজারো পরিবারের আর্তনাদ