অশীতিপর বৃদ্ধা আছিয়া বেগম। দুই এতিম নাতি-নাতনিকে নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করেন। নাতি মো. শাহিন (১৯) যখন যে কাজ পান সেটাই করে কোনোরকম রুটি-রুজি জোগাড় করেন। অভিভাবক নেই বলে কেউ স্থায়ী কাজ দিতে চায় না। ফলে যখন কাজ থাকে না তখন আর কষ্টের সীমা থাকে না। অবশেষে স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শাহিনকে একটি রিকশা কিনে দিয়েছে।
‘পটুয়াখালীবাসী’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি আজ শুক্রবার বিকেলে পটুয়াখালী শহরের বহাল গাছিয়া এলাকায় শাহিনকে রিকশা বুঝিয়ে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, আছিয়া বেগমের স্বামী মারা গেছেন বহু বছর আগে। তাঁর চার ছেলে ও এক মেয়ে। এর মধ্যে ১৮ বছর আগে মেজো ছেলে নিরুদ্দেশ হয়ে যান। বেশ কয়েক বছর পরে ওই ছেলের স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে বাপের বাড়ি চলে যান। দুই এতিমকে নিয়ে বিপাকে পড়েন আছিয়া বেগম। তাঁর জীর্ণ ঝুপড়িঘরে দুই নাতিকে নিয়ে বহু কষ্টে দিনাতিপাত করেন তিনি।
‘পটুয়াখালীবাসী’ সংগঠনের সভাপতি মাহমুদ হাসান রায়হান বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ও বিশ্ব স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষে আর্থিক পুরস্কারের অর্থ দিয়ে এই রিকশা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রির লভ্যাংশ আমাদের এই রিকশা প্রোজেক্ট এগিয়ে নিয়ে এসেছে। এই প্রজেক্টে সহযোগিতা করেছেন পটুয়াখালী জেলার বিত্তবানেরা যারা আমাদের ভালো কাজকে সব সময় সহযোগিতা করে থাকেন।’
রায়হান আরও বলেন, ‘আমাদের বেশ কিছু প্রজেক্ট এখনো চলমান। এর মাধ্যমে মানুষকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর্থিক সহযোগিতা পেলে আমরা আরও এভাবে প্রকৃত অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পারব।’