পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনে ঊর্মী ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে তার বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হাজির করা হলে তিনজনই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন নিহত ঊর্মীর বাবা নজরুল বয়াতি, মা আমেনা বেগম ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩২)।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে ঊর্মীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে জানতে চাইলে ২০ আগস্ট রাতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা-মা ও ভগ্নিপতি মিলে ঊর্মীর গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে লাশ গোপন করার চেষ্টা করেন তাঁরা।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের কুম্ভখালী খালের পাশ থেকে ঊর্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে গুম ও খুনের অভিযোগে থানায় মামলাও করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ একে একে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে আটক করা হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা হত্যার দায় স্বীকার করেন।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত থেকেই আমরা সন্দেহের তালিকায় পরিবারের সদস্যদের রেখেছিলাম। গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’