নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী সুলতান মৃধাকে রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেল ৫টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ তাঁকে নীলফামারী জেলহাজতে পাঠায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার আদালত তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন বিকেল ৫টায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজ জিম্মায় নেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার এসআই মাহবুব রশীদ।
তদন্ত কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মামলায় সুলতান মৃধা প্রধান আসামি। তবে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জন আসামি রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে তথ্য জানতেই রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সেই ব্যাপারে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবে না।
উল্লেখ্য, ১৮ জুন দিবাগত রাতে সৈয়দপুরে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) কার্যালয়ের গোডাউন ও ইয়ার্ডে রাখা রেললাইনের পাত গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরা টুকরা করে তা গোপনে দুটি পিকআপে নিয়ে বিক্রি করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ওই দিনই বেলা ৩টায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও রেলওয়ে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তার যৌথ তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে (১৯ জুন) সুলতান মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতে পাঠানো হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।