নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ধর্ষণ মামলার বাদীর পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের সাতভাইয়াপাড়া গ্রামে ২০২৪ সালের ২৫ জুন রাতে দোকানে যাওয়ার পথে এক শিশুকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী একটি গ্যারেজে নিয়ে ধর্ষণ করেন একই এলাকার মাসুম মিয়ার ছেলে মারুফ হোসেন। এ ঘটনায় ২৮ জুন ভুক্তভোগীর খালা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন পলাতক থাকেন। বর্তমানে সে প্রকাশ্যে আসেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মারুফের পরিবার ওই ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছে। গতকাল বুধবার বিকেলে বাদীর ভাতিজি রহিমা আক্তার পার্শ্ববর্তী দোকানে সদাই কিনতে গেলে ধর্ষক মারুফের বাবা মাসুম মিয়া তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে মামলা তুলে নিতে পুনরায় হুমকি দেন।
এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাসুম মিয়ার নেতৃত্বে মো. খোকন, ধর্ষণে অভিযুক্ত মারুফ, সাইমা আক্তারসহ ৮-১০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাদীর বোন ও ভাগিনাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ধর্ষণ মামলার বাদী বলেন, ‘ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তের পরিবার হুমকি দিয়ে আসছে। ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। গতকাল সন্ধ্যায় মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাঁদের ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
মাসুম মিয়া বলেন, মিথ্যা মামলায় তাঁর ছেলেকে ফাঁসিয়েছে ওই পরিবার। এ বিষয়টি নিয়ে মীমাংসার কথা বলতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হয়। তবে হামলা করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।