১০ ঘণ্টা পার হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। আজ বুধবার সকাল ৬টায় সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের মদনপুর পর্যন্ত যানজট সৃষ্টির ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও যানবাহনচালকেরা। বিশেষ করে বেকায়দায় রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ ব্যক্তিরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৪টা) যানজট দেখা গেছে।
জানা গেছে, পূজার ছুটি ও অতি বৃষ্টিতে মহাসড়কে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে প্রচুর গাড়ি ও যাত্রীর চাপ বেড়েছে। এই বাড়তি চাপ ও ভিড়ের মধ্যে সকালে দড়িকান্দি এলাকায় গাড়ি বিকল হওয়ায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজটে মানুষের কর্মঘণ্টা ব্যাহত হচ্ছে। সড়কে থাকা হাজার হাজার যাত্রী ও যানবাহনচালকেরা দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকা পড়েছেন। অনেকের গন্তব্য কাছাকাছি হওয়ায় তাঁরা হেঁটেই পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন।
যানজটে আটকা সাইফ বলেন, ‘বেলা ১১টার বাসে কুমিল্লার উদ্দেশে গাড়িতে উঠেছি, এখনো কাঁচপুর পার হতে পারি নাই। এক ঘণ্টা পরপর গাড়ি একটু একটু করে আগায়।’
আরাফাত নামের এক স্কুলশিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুল বন্ধ দিয়েছে অনেক আগে, কিন্তু প্রাইভেট বন্ধ দিয়েছে গতকাল, তাই পূজার ছুটিতে নানুর বাসায় যাচ্ছি বেড়াতে, কিন্তু যানজটের কারণে বাসে বসে থাকতে থাকতে এখন আমার অসুস্থ লাগছে।’
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দড়িকান্দি এলাকায় রডবোঝাই বড় একটি গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টিতে গাড়িটি সরাতে আমাদের একটু সময় লেগে যায়। এর পাশাপাশি পূজা উপলক্ষে গাড়ির কয়েক গুণ চাপ বেড়েছে ৷ সব মিলিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বর্তমানে যানজট ছুটে গেছে। ধীরে ধীরে গাড়ি পারাপার হচ্ছে। আশা করি, খুব দ্রুত এ সড়ক স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘রাত থেকে বৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি গাড়ি ও যাত্রীর দ্বিগুণ চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সড়কে অবস্থান করছি, খুব দ্রুত এটি স্বাভাবিক হবে।’