কালভার্ট নির্মাণের কারণে একপাশ দিয়ে চলছে যানবাহন। আপ ডাউনে রাখা হয়েছে দুজন ফ্ল্যাগম্যান। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে একজন উধাও হয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তার দুপাশে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে শত শত গাড়ি। যানজট নিরসনে রাস্তায় নেমে পড়েন থানার ওসির নেতৃত্বে একটি টিম।
আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এভাবেই দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে উন্নয়নকাজ চলছে। তারাকান্দা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ওয়াপদা মোড় কালভার্ট নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় একপাশে গাড়ি বন্ধ করে দিয়ে অন্য পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাস্তার দুপাশে দুজন ফ্ল্যাগম্যান। কিন্তু একজন ফ্ল্যাগম্যান কাউকে কিছু না বলে চলে যান। এতে যানজট বেঁধে যায়। গোলাপপুর থেকে কোদালধর বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার যানজটে পড়ে শত শত পরিবহন।
কোদালধর বাজারে আটকা পড়া সোনার বাংলা পরিবহনের চালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘যে যানজটে পড়েছি, আল্লাই যানে কখন জানি ছাড়ে। তবে যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে দেখা যাক কি হয়।’
শেরপুরগামী যাত্রী আসমা আক্তার বলেন, ‘তিন ঘণ্টা ধরে যানজটে বসে আছি। উন্নয়নকাজ হলে ভোগান্তি হয় জানি। কিন্তু এমন কষ্টের মধ্যে পড়তে হবে ভাবিনি। বাচ্চাটা কান্না করছে বারবার।’
ময়মনসিংহগামী যাত্রী শরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী ভর্তি। কিন্তু আমি যানজটে আটকে আছি। রোগীর অবস্থাও ভালো নয়। সবকিছু একটু শৃঙ্খলার মধ্যে করলে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয় না।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রূপচন্দ্রপুর রানা বিল্ডার্সের ইঞ্জিনিয়ার ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘কালভার্ট নির্মাণের দুপাশে ফ্ল্যাগম্যান থাকে। কিন্তু আমি একটু বাইরে যাওয়ায় একজন ফ্ল্যাগম্যান চলে যায়। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। এ জন্য আমরা দুঃখিত। আমরাও মানুষের ভোগান্তি নিরসনে কাজ করছি।’
ইঞ্জিনিয়ার ইমতিয়াজ আরও বলেন, ‘ওই ফ্ল্যাগম্যান এখনো আসেনি। ফোনেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আপাতত অন্য লোক দিয়ে ফ্ল্যাগম্যানের কাজ করানো হচ্ছে। সে ফিরলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’