‘উপজেলা পরিষদের সামনে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা শেষে নাদিম (নিহত সাংবাদিক) মামা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এ সময় মামাকে মারধর শুরু করেন রেজাউল (ইউপি চেয়ারম্যানের অনুসারী)। পরে তাঁকে অন্ধকারে নিয়ে গেলে সেখানে দেখি বাবু চেয়ারম্যান ও তাঁর ছেলে রিফাত দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় রিফাত দেয়ালের ইট খুলে মামার বুকে ও মাথায় আঘাত করেন। আমি তখন লালনকে ফোন করি। লালন এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাংবাদিক আল মুজাহিদ বাবু এভাবেই বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জামালপুর জেলা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলার বর্ণনা দেন।
মুজাহিদ বাবু আরও বলেন, ‘গত বুধবার রাতে আমি আর সাংবাদিক লালন বাড়ি ফিরছিলাম। এ সময় নাদিম মামা আমাদের ডাক দেন। তিনি বাবু চেয়ারম্যানের করা ডিজিটাল আইনে করা মামলা আদালত খারিজ করে দিয়েছেন বলে জানান। তখন আমি মামাকে বললাম, বাবু চেয়ারম্যান তো আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। কথাবার্তার এই পর্যায়ে নাদিম মামা মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। তখনই তাঁর ওপর হামলা করা হয়।’
গত বুধবার রাতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। আজ শুক্রবার উপজেলার নিলক্ষীয়া ইউনিয়নের গোমেরপাড়া পারিবারিক গোরস্তানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।