শেরপুর জেলা কারাগারের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে নয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম।
ওই হাজতির নাম মো. আল আমিন (২৫)। তিনি নকলা উপজেলার উরফা ইউনিয়নের লয়খা গ্রামের মো. শরাফত আলীর ছেলে। তিনি মারধর ও হত্যাচেষ্টার একটি মামলায় প্রায় দুই মাস থেকে কারাগারে ছিলেন।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম রাসেলের উপস্থিতিতে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাজতি আল আমিনের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
হাসপাতাল ও কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আল আমিন মারধর ও হত্যাচেষ্টার মামলায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলা কারাগারে আটক ছিলেন। তাঁর হাজতি নম্বর-৪৫৪/২৩। আজ সকাল আটটার দিকে কারাগারের ভেতরে তিনি পায়চারি করছিলেন। এ সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কারারক্ষীরা তাঁকে চিকিৎসার জন্য শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল পৌনে নয়টার দিকে আল আমিন মারা যান।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) খাইরুল কবীর সুমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই যুবকের সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা গেছেন। এরপরও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এ বিষয়ে জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার আবদুস সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাজতি আল আমিন অসুস্থ হয়ে পড়ায় দ্রুত তাঁকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। ময়নাতদন্ত শেষে আইনানুগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আল আমিনের লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’