ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পূজা দেখতে গিয়ে গারো কিশোরী (১৬) ধর্ষণ মামলার মূল আসামিসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার জুবলী গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে অটোরিকশাচালক আবুল বাশার (২২) ও নয়াপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. মিলন মিয়া (২১)।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার জুবলী এলাকা থেকে মো. মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ বুধবার বেলা ২টার দিকে একই এলাকা থেকে অটোরিকশাচালক বাশারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এর আগে গতকাল রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বাদী হয়ে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন। গত সোমবার রাতে উপজেলার জুগলী ইউনিয়নে পূজা দেখতে বের হয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই গারো কিশোরী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই দিন সকালে পূজা দেখার জন্য ভুক্তভোগী কিশোরীকে মোবাইল ফোনে কল করে বাড়ি থেকে ডেকে নেন মিলন নামের এক যুবক। কিন্তু পূজা দেখানোর কথা বলে মিলন ওই মেয়েকে নিয়ে সারা দিন স্থানীয় পার্কে ঘোরাঘুরি করেন। ঘোরাফেরা শেষে রাতে মিলন ওই কিশোরীকে অটোরিকশায় তুলে দেন। এরপর একই এলাকার অটোচালক আবুল বাশার তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে বাশার ভুক্তভোগীকে গামারিতলা মোড়ে ফেলে চলে যান।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘মিলন আমার মেয়ের পূর্বপরিচিত। পূজা দেখার জন্য সে আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে জোর করে অটোরিকশায় তুলে দিলে এ ঘটনা ঘটে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুল ইসলাম হারুণ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর সহযোগীসহ মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।