কাউন্টারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বৃহত্তর ঢাকাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা মোটরমালিক সমিতি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মাসকান্দায় ঢাকাগামী বাসস্ট্যান্ডের কাউন্টারে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় দুর্বৃত্তরা। এর জেরে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
জেলা মোটরমালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলম জানান, কাউন্টার ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বেলা ১টা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ থেকে শেরপুর, নেত্রকোনা, হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া, পূর্বধলা, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, ‘আমি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহে ফিরছি। গফরগাঁও আসতেই একজন ফোনকল করে মাসকান্দার ঢাকা বাস কাউন্টারে ভাঙচুর ও লুটপাটের কথা জানান। কী কারণে, কে বা কারা ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে, এখনো জানা যায়নি। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও বিস্তারিত বলতে পারব।’
মাসকান্দা বাস কাউন্টারের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাস কাউন্টারে হামলা চালায়। তারা কাউন্টার ও ভেতরে ভাঙচুর করে। এ সময় কাউন্টারে থাকা টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাস কাউন্টারের কর্মীরা জানান, একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে নগরীর মাসকান্দা বাস টার্মিনালে প্রবেশ করে অতর্কিতভাবে ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের টিকিট কাউন্টারটি গুঁড়িয়ে দেয়। বন্ধ করে দেয় ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের কাউন্টার। ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের কাউন্টারটি বন্ধ করে দেওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক শ যাত্রী। যাত্রীরা অগ্রিম টিকিট করেও তাঁদের গন্তব্যে যেতে পারছেন না।
যাত্রীরা বলছেন, হঠাৎ এভাবে ইউনাইটেড বাস সার্ভিসের কাউন্টারটি ভেঙে ফেলা ও বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে পারছেন না।
মজিবুর রহমান নামের ঢাকাগামী এক যাত্রী বলেন, ‘আমি অগ্রিম টিকিট করে রেখেছিলাম। বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখি, কে বা কারা কাউন্টার ভাঙচুর করেছে। এর জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমি ঢাকায় গিয়ে সেখান থেকে বরিশাল যাব। লঞ্চের টিকিট কেনা। এখন কোনোভাবেই ঢাকা যেতে পারছি না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী বাসস্ট্যান্ডের এক কর্মী জানান, যাঁরা ভাঙচুর করতে এসেছিলেন, তাঁরা স্লোগান দিয়েছেন ‘আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের কোনো বাস চলবে না’। এসব স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টার ভাঙচুর করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে যারা বাসস্ট্যান্ড নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো তারা করছে, এমন অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা কাউন্টার ভাঙচুর করেছে; যার কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মালিক সমিতির নেতা ও আমরা ঢাকায় কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করছি।’