হোম > সারা দেশ > শেরপুর

শেরপুরে অনিয়মের অভিযোগে কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সই জালিয়াতি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করেছেন এলাকার লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁকে অপসারণ ও কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদ্য নিয়োগ করা সভাপতির পদত্যাগের দাবি করা হয়। 

আজ বুধবার বেলা ১১টায় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনালের নেতৃত্বে শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি বাজারে কলেজ গেটের সামনে ওই মানববন্ধন করা হয়। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল, রণজিৎ চন্দ্র দে, আব্দুর করিম মিস্টার, মো. হানিফ উদ্দিন, খোকন নন্দী, মো. আলমগীর হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা প্রমুখ। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এলাকায় শিক্ষার হার বাড়াতে ২০০১ সালে লছমনপুর ইউনিয়নে মিনহাজ উদ্দিন মিনাল তাঁর বাবার নামে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। মিনাল সভাপতির দায়িত্বে থাকাকালে কলেজটি পর্যায়ক্রমে ডিগ্রি ও অনার্স কলেজে উন্নীত করেন। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজার স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের কারণে কলেজটি আজ ধ্বংসের পথে। অধ্যক্ষ রেজা সাবেক সভাপতি মিনালের সই নকল করে কলেজের ৪০ জনের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ভর্তি-বাণিজ্য করে এবং ফরম পূরণের সময় নির্ধারিত ফির চেয়েও বেশি অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। 

অধ্যক্ষ রেজা শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন বলে মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করেন। তাঁরা বলেন, অনেক শিক্ষকের পদোন্নতিবঞ্চিত করে অর্থের বিনিময়ে অন্য শিক্ষক-কর্মচারীকে পদোন্নতি দিয়েছেন। ব্যাংক হিসাবে লেনদেন না করে কলেজের অভ্যন্তরীণ আয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য অন্য এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সভাপতি বানিয়েছেন। 

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, বর্তমানের কলেজের পড়ালেখার মানও খারাপ। কয়েক বছর আগে কলেজের পাশের হার ছিল শতকরা প্রায় ৯৬ ভাগ। ২০২২ সালে তা নেমে দাঁড়ায় ২৩ ভাগে। কলেজের সুনাম ফিরিয়ে আনতে অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি জানান বক্তারা। 

মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা কলেজ অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম রেজার অপসারণের দাবিতে শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় কলেজ অধ্যক্ষের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন অবরোধকারীরা। পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের তদন্ত করার আশ্বাস দিলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড-ব্যানার নিয়ে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী কর্মসূচিতে অংশ নেন। 

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে কলেজের দায়িত্ব নেওয়ার পর কলেজের দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং পড়াশোনার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর থেকেই মিনাল কলেজের বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ করে আসছেন। যা মোটেও সত্য নয়। তাঁর করা অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। তদন্ত কমিটি উল্টো তাঁর বিরুদ্ধেই অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন। এ ছাড়া কলেজের নতুন সভাপতি ছানুয়ার হোসেন ছানু নিয়ম মেনেই সভাপতি হয়েছেন।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ‘জমশেদ আলী ডিগ্রি কলেজের কয়েকটি দাবি নিয়ে কলেজের সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনালের নেতৃত্বে মানববন্ধনের পর শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’

গফরগাঁওয়ে মনোনয়ন দ্বন্দ্বে নাশকতা, সোয়া ৩০০ জনকে আসামি করে দুই মামলা

ভালুকায় সহকর্মীর গুলিতে আনসার সদস্য নিহত, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহ বিভাগ: অবৈধভাবে চলছে ৪৫৯ ইটভাটা

ময়মনসিংহে সদস্যপদ স্থগিত জামায়াত নেতার মনোনয়নপত্র দাখিল

ত্রিশালের এমপি হতে চান ভিক্ষুক আবুল মুনসুর, জমা দিলেন মনোনয়নপত্র

গফরগাঁওয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত: গতি কম থাকায় রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা

ভালুকায় শ্রমিকবাহী বাস উল্টে এক শ্রমিক নিহত, আহত ২০

রেললাইন খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা, ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এমপি শাহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে ফের ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ