ধুমধাম করে হচ্ছিল বিয়ের আয়োজন। বর ও কনে পক্ষের লোকজনের বিয়ে বাড়িতে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ, কনে সাজানোর কাজ চলছিল। তখনই সেখানে বাধ সাধেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। ইউএনও উপস্থিতি টের পেয়েই পালিয়ে যান বর আর কনের বাবা-মা।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়ন। নাংলার একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর (১৫) বিয়ের আয়োজন চলছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও সেই বাড়িতে হাজির হন। পরে তাঁর উপস্থিতিতে মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেবেন না মর্মে কনের চাচার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ও দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বন্ধ করা হয় বিয়ে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮ দিকে উপজেলা নাংলা ইউনিয়নে এভাবেই বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পায় এক কিশোরী।
এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাড়ি উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। সে স্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। তার সঙ্গে জামালপুর সদর উপজেলার এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। পরে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ইউএনও বিয়ে বাড়িতে এসে হাজির হন। পরে মেয়েটির বাবা-মা পালিয়ে যান। এ সময় ইউএনও মেয়েটির চাচাকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সঠিক সময়ে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করি। পালিয়ে যায় বিয়ে বাড়ির লোকজন। পরে কনের চাচাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সব সময় মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সমাজের সকল শ্রেণির মানুষ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত।