শেরপুর সদর হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে হাসপাতালের পাশেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কার্যালয় থাকায় দ্রুত সময়ে আগুন নিভিয়ে ফেলায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে হাসপাতালের দুই শতাধিক রোগী ও কর্মকর্তারা। আজ বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের দোতলায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের দোতলায় ধোঁয়া উঠতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে হাসপাতালের সামনে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ও ভর্তি রোগীদের অনেকেই আতঙ্কে নিচে নেমে আসেন।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক জাবেদ হোসেন মুহাম্মদ তারেক বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুততম সময়ে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সম্ভবত হাসপাতালের দোতলায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপে কেউ সিগারেট খেয়ে টুকরা ফেলেছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। তবে আগুন বিদ্যুতের তারের মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে বড় বিপদ হতে পারত।
এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন ও হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ জানান, হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা একটি বড় পাইপের সাহায্যে নিচে ফেলা হয়ে থাকে। ওই পাইপের সঙ্গে প্রতি তলায় সংযোগ রয়েছে। দোতলায় ওই সংযোগ পাইপের পাশে ময়লাগুলো নিচে ফেলার জন্য জমিয়ে রাখা হয়েছিল, হয়তো কেউ জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরা সেখানে ফেলায় ময়লার কাগজে আগুন ধরে যায়। এটি বড় কোনো আগুন না হলেও সাবধানতার জন্যই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়েছিল।