জামালপুরের মেলান্দহে ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। গতকাল রোববার বিকেলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে তাঁর কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় ৫ মে ওই নারীর মা বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। তবে আসামিকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযুক্ত মামুন মিয়া (৩৫) মেলান্দহ উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের ভালুকা এলাকার একজন কৃষক।
জানা গেছে, ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে তাঁর ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। আট-নয় মাস আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হন। কিছুদিন পর তাঁর মা বিষয়টি বুঝতে পারেন। একপর্যায়ে এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে সমঝোতার জন্য অভিযুক্তের পরিবার থেকে ধর্ষণের শিকার নারীর পরিবারকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ নিয়ে এলাকায় সালিসও হয়েছিল। অভিযুক্ত মামুন তখন তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমঝোতা না হলে এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর মা বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। এহন মেয়ে ও বাচ্চা নিয়ে কই যামু, কী করমু—চিন্তায় আছি। মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মীমাংসা হয় নাই। কাল হাসপাতালে মেয়ে হয়েছে। সরকারের কাছে আমার মেয়ে ও তার সন্তানের একটা ব্যবস্থা চাই। আর মামুনের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।