বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুটি নতুন গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে পৃথক দুটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমটি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় রুই ও সামুদ্রিক ভেটকি মাছকে অভিযোজিত এবং টেকসইভাবে চাষ করার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর, আর দ্বিতীয়টি দেশীয় গবাদিপশুর জেনেটিক উন্নয়ন ও আধুনিক প্রজনন প্রযুক্তিনির্ভর টেকসই দুগ্ধশিল্প গড়ে তোলার ওপর।
গবেষণা দুটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্বব্যাংক সমর্থিত হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড ট্রেনিং (হিট) প্রকল্পের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
মৎস্য চাষ-সম্পর্কিত কর্মশালায় ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রকল্পের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রুই ও ভেটকি মাছের উৎপাদন কমছে। তাই গবেষণা চারটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে—রুই মাছের খাদ্যে পুষ্টিসমৃদ্ধ সংযোজন, মাছের তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা সহনশীলতা যাচাই, ভেটকি মাছের বাণিজ্যিক চাষ প্রযুক্তি তৈরি এবং জলবায়ু সহনশীল চাষ পদ্ধতি মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, রুই ও ভেটকি মাছকে জলবায়ু সহনশীল করতে গবেষণা অত্যন্ত সময়োপযোগী। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের যুক্ত করলে ভবিষ্যতে আরও দক্ষ গবেষক তৈরি হবে।
অন্যদিকে, প্রিসিশন ব্রিডিংভিত্তিক দুগ্ধ উৎপাদন উন্নয়ন কর্মশালায় বক্তারা জানান, উন্নত জেনোমিক বিশ্লেষণ, সুনির্দিষ্ট প্রজনন কৌশল ও আধুনিক বায়োটেকনোলজি ব্যবহার করে দেশীয় গবাদিপশুর দুধ উৎপাদন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব। কর্মশালায় প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘প্রত্যন্ত অঞ্চলের খামারিরা এখনো বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির পরিবর্তে অভ্যাস ও অনুমান অনুসরণ করেন। শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত করলে তারা আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ গবেষক হয়ে উঠতে পারবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে বাকৃবির কোনো গবেষক নোবেল পুরস্কার অর্জন করুন—এই-ই আমার প্রত্যাশা।’