স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকা থেকে কমিউটার ট্রেনে ছাদে উঠে বাড়ি ফিরছিলেন পোশাকশ্রমিক আলমগীর। বাড়ির কাছাকাছি ঝিনাই রেলওয়ে সেতুর ওপরের রেলিংয়ের ধাক্কায় ট্রেনের ছাদেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। এ খবরে নিহতের বাড়িতে স্বজনদের আহাজারিতে এক অবর্ণনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। এ সময় প্রতিবেশীদের অনেককেই চোখ মুছতে দেখা যায়।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই রেলওয়ে সেতু এলাকায়।
দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আলমগীর (৩২) দেওয়ানগঞ্জের হাতিভাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ সাপমারি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। তিনি গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর (৩২) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাঁদে উঠে বাড়ি ফিরছিলেন। মেলান্দহ উপজেলার ঝিনাই রেলওয়ে সেতুতে পৌঁছালে অসাবধানতাবশত ওপরের রেলিংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লাগে আলমগীরের। এ সময় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে ট্রেনের ছাদেই মারা যান তিনি।
নিহতের বাবা আব্দুল খালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈদ করার জন্যই বাড়িতে আইতাছিল আমার ছেলে। গাড়িতে ওঠার আগে ফোন দিয়েছিল। ট্রেনের ভেতরে অনেক ভিড় ছিল, তাই ট্রেনের ছাদে উঠছিল। বাড়ির কাছাকাছি এসে এ দুর্ঘটনা ঘটল।’
দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে নিরাপত্তা ফাঁড়ির ইনচার্জ হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনের ছাদে বাড়ি ফিরছিল। ঝিনাই ব্রিজের রেলিং সঙ্গে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হয়েছে।;