প্রতিবছর দুর্গাপূজার মণ্ডপগুলোতে থাকে ভিন্ন ভিন্ন আয়োজন। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর মৌলভীবাজার শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে নানাবিধ সাজসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যতিক্রমধর্মী নানা আয়োজনের মধ্যে এবার দেখা যাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত বুর্জ খলিফা টাওয়ার।
মৌলভীবাজার শহরের ত্রিনয়ানি শিববাড়ি মন্দিরের পূজামণ্ডপের মূল গেট বানানো হচ্ছে বুর্জ খলিফার আদলে। রয়েছে ৩৫ ফুট উচ্চতার বিশ্বরূপ প্রতিমাসহ নানাবিধ ব্যতিক্রমী আয়োজন। এ ছাড়া শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার সহস্রাধিক পূজামণ্ডপের আয়োজকেরা।
আয়োজকেরা জানান, কলকাতায় দুর্গাপূজায় বুর্জ খলিফাসহ নানাবিধ বিখ্যাত স্থাপনা স্থান পায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শহরের সৈয়ারপুর এলাকায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বুর্জ খলিফার আদলে ১২০ ফুট উঁচু টাওয়ার তৈরি করেছেন ত্রিনয়নী শিববাড়ি মন্দিরের আয়োজকেরা। দর্শনার্থী সমাগম বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজেরা উদ্যোগী হয়ে এই ব্যতিক্রমী পূজার আয়োজন করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ত্রিনয়ানি শিববাড়ি মন্দিরের সভাপতি শ্রীকান্ত ধর বলেন, ‘আমাদের মূল পূজা মূলত প্রতিমাকে কেন্দ্র করে। সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও দর্শনার্থী আকৃষ্ট করতে নানাবিধ স্থাপনা ও নকশার অনুকরণ করা হয় মূল গেটের অংশে। তারই ধারাবাহিকতায় সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এসেছে বুর্জ খলিফা টাওয়ার।’
জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় মোট ১ হাজার ৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। আর ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয় পূজা দেখতে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে বলে মনে করছেন পূজারিরা।
আবাহন পূজামণ্ডপের সভাপতি সন্তোষ দাশ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ব্যতিক্রমী কিছু করার ভাবনা থেকে এমন আয়োজন করা।
এদিকে পূজার নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া জানান, নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য প্রতিটি মন্দিরে সব ধর্মের মানুষ নিয়ে সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মনিটরিং রয়েছে। প্রতিটি মন্দিরে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং আনন্দঘন পূজা উদ্যাপনে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।’