হোম > সারা দেশ > মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার সীমান্তে পুশ ইনের হিড়িক

মাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে পুশ ইনের শিকার ব্যক্তিরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারত থেকে শিশু, নারীসহ অনেককে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশ ইনের হিড়িক শুরু করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। চলতি মে মাসের ১৯ দিনে এভাবে ঠেলে দেওয়া ২৮২ জনকে মৌলভীবাজার সীমান্ত থেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের মধ্যে ২২৫ জনকেই আটক করা হয়েছে বড়লেখা উপজেলা সীমান্ত থেকে।

বিজিবি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী পাঁচ উপজেলার সঙ্গে ভারতের সীমানা রয়েছে ২৭১ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে বেশির ভাগ জায়গা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গল। সেখানে রাতের অন্ধকারে বিএসএফ পুশ ইন করছে। তাদের মধ্যে বিজিবি ৮ মে কমলগঞ্জ সীমান্ত থেকে ও ৯, ১৪, ১৫ মে বড়লেখা থেকে ৪৪ জন করে এবং ১৫ মে কুলাউড়া থেকে ১৪ ও বড়লেখা থেকে ১৬ জনকে আটক করে। এ ছাড়া ২২ মে কুলাউড়া থেকে ৭, ২৫ মে বড়লেখা থেকে ১২১ এবং সর্বশেষ ২৬ মে কমলগঞ্জ থেকে ২১ জন আটক হয়।

গতকাল সোমবার কমলগঞ্জ সীমান্তে আটকদের মধ্যে মো. গোলদার ও মো. বেলাল হোসেন জানান, তাঁরা ছয় থেকে সাত বছর আগে ভারত যান। দিল্লিতে বসবাস করতেন। কিছু দিন আগে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আটক হন। পরে তাঁদের উড়োজাহাজে করে দিল্লি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে গাড়ি করে হাত ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে বাংলাদেশ সীমান্ত এনে রাত ১১টার দিকে ছেড়ে দেয়। ছাড়ার সময় হাতের বাঁধন খুলে দেয়। পরে তাঁরা চোখের কালো কাপড় সরিয়ে দেখেন আশপাশে শুধু জঙ্গল আর জঙ্গল। তাঁদের সঙ্গে নারী ও শিশুও ছিল। দীর্ঘ পথ হাঁটার পর তাঁরা একটি জায়গায় বসে পড়েন। পরে বিজিবির গাড়ি এলে তাঁরা আত্মসমর্পণ করেন।

জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা সীমান্ত ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ এলাকা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলে ভরপুর। দিনের বেলা এসব এলাকায় মানুষের আনাগোনা থাকে একেবারে কম। সন্ধ্যা নামলে সেখানে বাড়ে পুশ ইনের আশঙ্কা। সীমান্তবর্তী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএসএফের পুশ ইনের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। বিশেষ করে রাতের বেলা এমন ঘটনার কারণে আতঙ্কে থাকেন তাঁরা।

বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতের পুশইন ঠেকাতে বিজিবির পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে পুশইন ঠেকানো যাচ্ছে না। পাহাড় ও দুর্গম এলাকা থাকায় রাতের আঁধারে পুশ ইন করছে বিএসএফ। এমন কর্মকাণ্ড ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা চৌকিতে বিজিবির সদস্যসংখ্যা ও টহল বাড়ানো হয়েছে।

এ নিয়ে কথা হলে বিজিবি-৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশইন ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের বিজিবির সব সদস্য কাজ করছেন। পাহাড়ে ঘন জঙ্গলের এলাকা দিয়ে পুশ ইনের ঘটনা ঘটছে। ঘন জঙ্গল থাকায় ১৫০-২০০ ফুটের বেশি দেখা যায় না। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুশ ইন করছে। আমরা যাদের আটক করেছি, তারা সবাই বাংলাদেশি। তবে এভাবে তাদের পাঠানো উচিত হচ্ছে না।’

বড়লেখায় পূর্ববিরোধে ঘরে ঢুকে ২ ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

কুলাউড়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত

মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেপ্তার ৫১

শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিকসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের হত্যার হুমকি, থানায় জিডি

চিকিৎসকের অবহেলায় শিশুমৃত্যুর অভিযোগ, চা-শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মৌলভীবাজারে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ অভিযানে গ্রেপ্তার ৭

ডেভিল হান্ট অভিযানে শ্রীমঙ্গল আ.লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার

পাওনা টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে হত্যা

বধ্যভূমিগুলো জঙ্গলে ভরা

হাদিকে গুলি: মৌলভীবাজার সীমান্তে বিজিবির একাধিক বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন