মৌলভীবাজারে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালান বলে অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তবে ছাত্রলীগ নেতারা হামলার কথা অস্বীকার করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে শহরের কোর্ট রোডে কাশিনাথ আলাউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম নাসের রহমানকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বেলা একটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পূর্বঘোষিত মানববন্ধনের প্রস্তুতিকালে ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তখন উভয় পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপির ১৫ জন এবং ছাত্রলীগের অন্তত ৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ-যুবলীগ পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১৫-২০ জনকে আহত করে।’
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ, বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে সারা দেশের মতো মৌলভীবাজারে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মানববন্ধন করেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উভয় পক্ষের মধ্যে কিছু পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। একই সঙ্গে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’