মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ৬ নম্বর বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে বিজয়ী প্রার্থীর ওপর হামলা করেছেন পরাজিত প্রার্থী। আজ শুক্রবার যাত্রাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বয়ড়া ইউনিয়নে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন হাবেজা বেগম। একই এলাকায় কলম প্রতীক নিয়ে নার্গিস আক্তার অনেক বেশি ভোটে পরাজিত হন। এ ঘটনার জের ধরে পরাজিত প্রার্থী নার্গিস আক্তার তাঁর লোকজন নিয়ে বিজয়ী প্রার্থী হাবেজা বেগমের ওপর হামলা করেন। হামলায় আহত বিজয়ী ইউপি সদস্য হাবেজা বেগমকে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিজয়ী নারী ইউপি সদস্যের স্বামী রতন প্রামাণিক বলেন, 'আমার স্ত্রী বাড়ির সামনে সড়কে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় পেছন থেকে পরাজিত প্রার্থী নার্গিস আক্তার ও তাঁর স্বামী রউফ মোল্লা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন। হামলায় আমার স্ত্রীর কান কেটে যায়। আমরা হরিরামপুর হাসপাতালে আছি। আমার স্ত্রীর কানে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
পরাজিত প্রার্থী নার্গিস আক্তার বলেন, 'বিজয়ী প্রার্থীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে কটূক্তি করেন। মারার জন্য আমার দিকে এলে আমি ধাক্কা দেই। এ সময় মাটিতে পড়ে গিয়ে তাঁর কান কেটে যায়। এতে আমি লজ্জিত।'
এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, 'হামলার ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'