মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় সহকারী শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে মারধর করেন ওই বিদ্যালয়ের সাবেক দুই ছাত্র। পরে আল আমিন ও রমজান আলী সজল নামে ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে।
আজ রোববার সকালে মানিকগঞ্জের আদালতে নেওয়া হলে আল আমিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি আল আমিন মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান।
এসআই কামরুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকা থেকে আলামিনকে গ্রেপ্তার করে সাটুরিয়া থানার পুলিশ। অপর আসামি রমজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে আদালত আলামিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও হরগজ শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ বজলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অন্য আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি আলামিনকে গ্রেপ্তার করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অন্য আসামি রমজানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য গত বুধবার সকালে সহকারী শিক্ষক মো. তোফাজ্জল হোসেনকে বিদ্যালয়ের সামনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আহত করেন হরগজ বালুর চর গ্রামের যুবক আলামিন ও রমজান। তাঁরা দুজনই ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।