দুই মাস আগে শেষ হয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন শুরুর তিন মাস আগে থেকে এর সফলতা কামনা করে এবং কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছবিসহ ডিজিটাল পোস্টার, ব্যানার ও বিশাল বিশাল অসংখ্য তোরণ নির্মাণ করেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও তাঁদের অনুসারীরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব তোরণ না সরানোয় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চালক ও এসব রাস্তায় চলাচলকারীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষ হওয়ার বেশ কিছুদিন পর বাসস্ট্যান্ড থেকে বেউথা পর্যন্ত ফোর লেনের রাস্তার মাঝ খান দিয়ে সাঁটানো সব ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলা হলেও অজ্ঞাত কারণে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের নির্মাণ করা বিশাল বিশাল তোরণ রেখে দেওয়া হয়। দীর্ঘ সময় একই জায়গায় নেতৃবৃন্দদের ওই সব তোরণ থাকায় একদিকে যেমন শহরের সৌন্দর্য ফুটে উঠছে না। অন্যদিকে বিশাল আকৃতির অস্থায়ী তোরণের কারণে মাঝে মাঝে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা।
সম্প্রতি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ব্রিজ পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, মানিকগঞ্জ-সিঙ্গাইর ও হেমায়েতপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের অনেক জায়গায় নির্মাণ করা সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্মাণ করা তোরণের ব্যানারসহ রঙিন কাপড় ছিঁড়ে গেছে। মহাসড়কের কিছু কিছু জায়গায় নির্মাণ করা তোরণ হেলে পড়েছে। যে কোনো সময় ঝড়-বৃষ্টিতে তোরণগুলো সড়কে আছড়ে পরে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। এই অবস্থায় তোরণের নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যানবাহন চালক ও সাধারণ মানুষ।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, ‘তোরণ প্রচারের একটি অংশ। তবে তোরণ বাধা সৃষ্টি করলে অবশ্যই সেগুলো অসুন্দর। সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি থাকলে জনদুর্ভোগ হয়।’
মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. রমজান আলী বলেন, ‘নির্মাণ করা তোরণে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রচারণা নয়। জাতীয় অন্য কোনো দিবসের প্রচারণার ব্যানার থাকতে পারে। যদি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রচারণা এখনো থাকে, তাহলে আগামী দুই দিনের মধ্যে তোরণগুলো সরিয়ে ফেলা হবে।’