হোম > সারা দেশ > মানিকগঞ্জ

হরিরামপুরে ইউপি নির্বাচনে চাপে রয়েছেন আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা 

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ১১ নভেম্বর ও সদর উপজেলায় তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর ভোটের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর থেকে হরিরামপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। তবে গত নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের এবার মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ নেই, তাই চাপে রয়েছেন তাঁরা। 

জানা যায়, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে সরকারদলীয় আ.লীগের প্রার্থীরাই নির্বাচনী মাঠ বেশি চষে বেড়াচ্ছেন। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়নের জন্যও তাঁরা দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিটি ইউনিয়নেই একাধিক নতুন মুখ দেখা গেছে। তবে গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে বাল্লা ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম হাজারী শামীম, গালা ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান, হামিদুর শিকদার লেবু ও মাহফুজুর রহমান, চালা ইউনিয়নের সেলিম মোল্লা, বয়ড়া ইউনিয়নে পবিত্র কুমার শাখারী, লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে সৈয়দ হোসেন ইমাম সোনামিয়া ও হারুকান্দি ইউনিয়নে আসাদুজ্জামান চুন্নু সরকার দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করছেন। 

২০১৬ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, হরিরামপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে সরকারদলীয় আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে কাঞ্চনপুর, রামকৃষ্ণপুর, আজিমনগর ও সুতালড়ী ইউনিয়ন জয়লাভ করে। বিএনপির ধানের শিষ প্রতীক নিয়ে বাল্লা, গালা, গোপীনাথপুর, বলড়া ও বয়ড়া ইউনিয়নে জয়লাভ করে। এ ছাড়া চালা, ধুলশুড়া, হারুকান্দি ও লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেন।

সরকারদলীয় প্রার্থীদের এমন পরাজয়ের নেপথ্য কারণ হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় অন্তর্কোন্দলের প্রার্থী বাছাইয়েও ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। 

হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও বাল্লা ইউনিয়নে গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হাজারী শামিম বলেন, `আমি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে মনোনয়ন ঘোষণার পর নির্বাচন করা বা না করার সিদ্ধান্ত নেব।' 

হারুকান্দি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান চুন্নু বলেন,` আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। গত নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে যখন আমার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি তখন আমি জনগণের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি এবং বিজয় লাভ করি।'

আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আসাদুজ্জামান চুন্নু বলেন, জনগণের চাপ আর দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে সব। আগে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণা হোক। তারপর বাকিটা বোঝা যাবে। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু বলেন, `প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কেন্দ্রের নির্দেশমতো কাজ করব। এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি, যত জনপ্রিয় হোক, গত নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় ফরম গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আমাদের কারণে আমরা পরাজিত হব, এটা আর হতে দেওয়া হবে না। ক্লিন ইমেজ ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।'

৪২ দিন আগে মিশনে গিয়ে সুদানে ড্রোন হামলায় আহত মানিকগঞ্জের চুমকি

ঘিওরে সারবোঝাই ট্রাক উল্টে পড়ল নদীতে, ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির দাবি

অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়ে ট্রাকচাপায় শিশুর মৃত্যু

আলেম-ওলামাদের গ্রেপ্তার করলে ডিসি-এসপিদের খোলা মাঠে বিচার করা হবে— হেফাজত নেতার হুমকি

কালীগঙ্গায় ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

অভিযোগের পাহাড় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

মানিকগঞ্জে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে দুর্বৃত্তদের আগুন, পুড়ে গেছে নিচের অংশ

একটি গুপ্ত গ্রুপ ষড়যন্ত্র করছে, সজাগ থাকতে হবে: আফরোজা খানম

মানিকগঞ্জে ৮২ জাতের ধান চাষে গবেষণা, প্রত্যন্ত গ্রামে নিরাপদ কৃষির নতুন স্বপ্ন

সিংগাইরে নিখোঁজ ব্যক্তির মাথা থেঁতলানো লাশ মিলল রাস্তার পাশে