ঈদুল আজহায় মানিকগঞ্জের আরিচা-কাজিরহাট ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখী যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ বেড়েছে। ঈদের দুই দিন আগে আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য যাত্রী আরিচা থেকে কাজিরহাট যাওয়ার পথে নৌযান সংকটে পড়েন। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় তাঁদের।
ঘাটে প্রশাসনের কড়া নজরদারি দেখা গেছে। সন্ধ্যায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পর্যাপ্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে দেখা যায়।
জানা গেছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৩টি জেলায় যানবাহন চলাচলের জন্য অন্যতম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুট ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই রুটে ছোট-বড় ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চালু রয়েছে। অপর দিকে, আরিচা-কাজিরহাট রুটে পাঁচটি ফেরি, ১৩টি লঞ্চ ও শতাধিক স্পিডবোট রয়েছে। আজ দুপুর থেকে এই রুটে ব্যাপক যাত্রী বৃদ্ধি পায়। সে অনুযায়ী পর্যাপ্ত লঞ্চ ও স্পিডবোট না থাকায় আরিচা ঘাটে অনেক যাত্রী আটকা পড়ে। যদিও ফেরি সার্ভিস চালু থাকায় অনেকেই গন্তব্যে রওনা দেন।
পাবনাগামী আশিকুর রজমান বলেন, আরিচা থেকে কাজিরহাট যাওয়ার জন্য স্পিডবোট সার্ভিস থাকলেও স্বল্পতার কারণে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ঢাকা থেকে বাসে স্বাচ্ছন্দ্যে এসেও ঘাটে নৌযান সংকটে অযথা সময় ব্যয় হচ্ছে।
পোশাক কারখানার শ্রমিক মনিরা আক্তার বলেন, ‘নদী পার হওয়ার জন্য সপরিবারে আরিচা ঘাটে এসে টিকিট নিয়ে লঞ্চে ওঠার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। আধা ঘণ্টা কেটে গেছে। কখন বাড়িতে পৌঁছাতে পারব, জানি না।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা নদী বন্দর উপপরিচালক মো. সেলিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, আরিচা ও পাটুরিয়া—এই দুই রুটে যাত্রী পারাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্টসংখ্যক লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট চলাচল করছে। সন্ধ্যার আগে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার নিয়ম থাকলেও লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকে।