আটদিনের বিধিনিষেধ ঈদ পর্যন্ত বর্ধিত হওয়ার আশঙ্কা করছে মানুষ। তাই রমজান শুরুর আগেই ঈদের কেনাকাটা করে ফেলতে চাচ্ছেন মাদারীপুরের মানুষ।
এতে করে পোশাকের দোকানগুলোতে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ বোধ করছেন না কেউ। নারী–শিশুরা ঠেলাঠেলি করে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ঘুরছেন।
মাদারীপুরের শিবচরে মার্কেটে গত কয়েকদিন ধরেই ক্রেতাদের ভিড় দেখা যাচ্ছে। বেশি ভিড় পোশাক, টেইলার্স ও জুতার দোকানে। জেলা-উপজেলা শহরের বিপণীবিতানগুলোর পাশাপাশি গ্রামের বাজারের দোকানগুলোতেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়। ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি কোনো ধার ধারছেন না। বিক্রেতাদের অনেকের মুখে নেই মাস্ক।
সরেজিমনে শিবচর পৌরবাজার, সূর্যনগর, পাঁচ্চরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের তৈরি পোশাক, দর্জি দোকান, শাড়ি ও অন্যান্য কাপড়ের দোকান, জুতা ও কসমেটিকসের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়। ঠেলাঠেলি করে পণ্য পছন্দ করছেন, কিনছেন তারা।
হামিদা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘লকডাউনে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যাবে শুনতেছি। এজন্য তাড়াতাড়ি করে কেনাকাটা করতে এসেছি। বাচ্চাকাচ্চাদের তো নতুন জামাকাপড় দিতে হবে ঈদে।’
শাহিনা আক্তার নামের এক কলেজ ছাত্রী বলেন, ‘ভেবেছিলাম খুব একটা ভিড় হবে না। কিন্তু এবারের চিত্র তো সম্পূর্ণ ভিন্ন। গ্রামের বাজারের পোশাকের দোকানের প্রচুর ডিম্যান্ড দেখছি। রোজার আগেই এবার ঈদের কেনাকাট সাড়া হচ্ছে। লকডাউন আর করোনা পরিস্থিতিতে আগামীতে কী হয় বলা যাচ্ছে না।’
বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বুধবার থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউনে আমরা দোকান খুলতে পারবো না। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন যে আরো বাড়বে না তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই রোজার আগেই যকটুকু পারা যাচ্ছে বেচাকেনা হচ্ছে। গত বছরও লোকসান গেছে। এ বছরের পরিস্থিতিও ভালো মনে হচ্ছে না। ঢাকা থেকে নতুন মালামাল তেমন একটা আনতেও পারিনি।
দর্জি দোকানি আলমাছ মিয়া বলেন, এবার রোজার আগেই জামা কাপড় বানানোর কাজ চলছে। এবার লোকজন আগেভাগেই জামাকাপড় বানিয়ে নিচ্ছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না– এ প্রশ্নে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে পারছে দোকানিরা। প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। বুধবার থেকে বিপণীবিতান সবই বন্ধ থাকবে। নিত্যপণ্যের দোকান নির্ধারিত সময় পর্যন্ত খোলা থাকবে।