মাদারীপুর জেলার শিবচরে পারিবারিক কলহের জের ধরে আয়শা আক্তার (৩০) নামের এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী রাজ্জাক তালুকদার (৪০)। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে শিবচরের চরশ্যামাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রাজ্জাক তালুকদার চরশ্যামাইল গ্রামের আব্দুল খালেক তালুকদারের ছেলে। তিনি পেশায় ইজিবাইকের চালক। আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। নিহত আয়শা আক্তার দুই সন্তানের জননী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাজ্জাক তালুকদার ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আয়শা আক্তারের (৩০) সঙ্গে পারিবারিক কলহ নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে স্বামী রাজ্জাক তালুকদারের সঙ্গে স্ত্রী আয়শার কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী আয়শার পেটে ও নাকে আঘাত করেন। পরে প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান আয়শা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল থেকে নিহত আয়শার লাশ থানায় নিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা জানান, সাধারণ বিষয় নিয়ে প্রায়ই আয়শা আক্তার ও রাজ্জাক তালুকদারের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায়ও কোনো বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আয়শা বেগমকে আঘাত করে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো ছুরির আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের দুটি আঘাত রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ থেকে এই হত্যাকাণ্ড। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী রাজ্জাক তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে মাদারীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।