মাদারীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ কয়েক জন আহত হয়েছেন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল সোমবার রাতে মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ এ ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি এলাকার আক্কাস মুন্সির ছেলে অপু মুন্সির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয় শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার বাদশা ব্যাপারীর মেয়ে নিশি আক্তারের। পারিবারিক কলহের কারণে ছয় মাস আগে তাঁদের তালাক হয়ে যায়। সোমবার বিকেলে বাড়ির কাছে হঠাৎ দেখা হলে নিশি আক্তারের সঙ্গে কথা হয় অপু মুন্সির। পরে বিষয়টি নিশি আক্তারের পরিবার জানলে ক্ষিপ্ত হয়ে অপুকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর পূর্ব রাস্তি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দফায় দফায় সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ।
পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে দুই পুলিশ সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৮ জনকে আটক করেছে। আহত উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামসহ দুই পুলিশ সদস্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, হঠাৎ চারদিক থেকে শত শত লোক এসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তাঁরা ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। চালের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যের নিয়ে ঘরের ভেতর থাকেন। পুলিশ প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, সংঘর্ষ থামাতে ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। এ ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এ ছাড়া বাকি জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।