অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ঝোড়ো বাতাসে প্রচণ্ড ঠান্ডায় তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন বাংলাদেশের সাত যুবক। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে গত ২৯ জানুয়ারি জরুরি নোটিশের মাধ্যমে সাতজনের নাম জানা গেছে। এর মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি মাদারীপুরে। তাঁদের মধ্যে ঠিকানা নিশ্চিত হওয়ার প্রায় অর্ধমাস পর একজনের মরদেহ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে মৃতদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম সালাউদ্দিন।
ওসি ভুক্তভোগী পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, ‘যে ব্যক্তির মৃতদেহ বাড়িতে এসেছে, তিনি হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারপুর গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিমানবন্দর থেকে মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। পরে আমরা খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জেনেছি।’
এসএম সালাউদ্দিন আরও বলেন, তবে এই ঘটনায় মাদারীপুরের অন্য চারজনের মৃতদেহ এখনো বাড়িতে আসেনি। তাঁরা হলেন মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের শাহাজালালের ছেলে জহিরুল, ইশিবপুর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে সাফায়েত, পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ি গ্রামের প্রেমানন্দ তালুকদারের ছেলে জয় তালুকদার রতন। আর বাপ্পীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সদর উপজেলায়। কিন্তু পুরোপুরি ঠিকানা দেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নিহত এমরান হাওলাদারের বাবা শাজাহান হাওলাদার বলেন, ‘সাংবাদিক ও প্রশাসনের চেষ্টায় আমার ছেলের মৃতদেহ দেশে আনতে পেরেছি। তবে যে দালালের মাধ্যমে আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম, তার কোনো খোঁজ নেই। সে আমাদের কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছে। এই সব টাকাই ধারদেনা করেছি। এখন কীভাবে এত টাকার দেনা পরিশোধ করব। আমাদের পাশে সরকারি সহযোগিতা চাই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘একটি মরদেহ দেশে আসছে কিন্তু তাঁর পরিবার আমাদের কিছু জানায়নি। যদি ওই পরিবার আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে, তাহলে দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা দালালের ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছি।’