লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজের চার দিন পর এক অটোরিকশা চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. মুরাদ হোসেন (১৮)। আজ শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জের দক্ষিণ আন্ধার মানিক এলাকার একটি ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ মো. সজিব হোসেন নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মুরাদ হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর শরীরে কয়েক স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মুরাদ দক্ষিণ আন্ধার মানিক এলাকার আজাদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত ৭ নভেম্বর দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন মুরাদ হোসেন। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে সন্ধান না পেয়ে পরদিন দুপুরে মুরাদের মা মরিয়ম বেগম জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তাঁর প্রতিবেশী সজিব (২২) ও আবুল কালাম আজাদের (২৬) নাম উল্লেখ করা হয়।
আজ শনিবার দুপুরে মুরাদের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে ওই খেতে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
মুরাদের চাচা সেলিম মাঝি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকে অটোরিকশাসহ নিখোঁজ ছিল মুরাদ। ওই রাতে মুরাদকে স্থানীয় আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু নামের এক ব্যক্তি মোবাইলে ফোন করে ডেকে নেয়। তখন মুরাদের সঙ্গে তার বন্ধু সজিবও উপস্থিত ছিল।
ঘটনার পর থেকে মুরাদের বন্ধু সজিব গ্রামে থাকলেও আবুল কালাম আজাদ আত্মগোপনে চলে যায়। তারাই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
সদর থানার ওসি মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে এ ঘটনায় অপহরণ মামলা নেওয়া হয়েছে। মুরাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সজিব হোসেন নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি ও হত্যাকারীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।