লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলি করার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সদর থানা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপুলিশের যৌথ অভিযানে সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন সোহাগ জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং লাহারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি মো. রুহুল আমিনের ছেলে।
সোহাগের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিস্ফোরক আইনে চারটি মামলা রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সোহাগ, যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে টিপুর বাসভবনের ছাদ থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এতে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি, সাব্বির হোসেনসহ চারজন নিহত হন এবং তিন শতাধিক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
এ ঘটনায় জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন টিপুসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে একাধিক মামলা করা হয়। এসব মামলায় ইতিমধ্যে ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া সোহাগ জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি একেএম সালাউদ্দিন টিপুর ঘনিষ্ঠজন এবং বহুল আলোচিত মানব পাচার মামলায় কুয়েতে দণ্ডিত সাবেক এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের স্ত্রী কাজী সেলিনা ইসলামের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন।