লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে একটি সয়াবিন খেত থেকে মো. কাশেম (৩০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার সকালে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর জাঙ্গালিয়া গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলটি ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির পাশে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কাশেম কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির আবু সায়েদের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষি শ্রমিক ছিলেন।
জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে কাশেম চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের আলি আক্কাসের মেয়ে তাসলিমাকে বিয়ে করেন। তাসলিমা তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
কামেশের বাবা আবু সায়েদ জানান, গতকাল মঙ্গলবার তার ছেলে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি। ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর।
হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে কাশেম তাঁর শ্বশুর বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান। সকালে শ্বশুর বাড়ির পাশের একটি ফসলি খেতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এটি হত্যাকাণ্ড হতে পারে।
কমলনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার নাক-মুখে দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।