লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জহিরকে (৫০) কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জহিরের স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা করেন।
মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়। এতে ছাত্রদলের কর্মী কাউছার হোসেন ওরফে ছোট কাউছারকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লতিফপুর এলাকার শাহ আলমের ছেলে ইমন হোসেন, মমিন উল্যাহর ছেলে আলমগীর হোসেন ও নুরুল আমিনের ছেলে হুসাইন কবির সেলিম।
পরিবারের অভিযোগ, আবুল কালামের সঙ্গে ছাত্রদলের কর্মী কাউছার হোসেন ওরফে ছোট কাউছারের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে কাউছারের লোকজন কালামকে খুন করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজিম নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর সন্দেহভাজন হিসেবে আটক তিনজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধান অভিযুক্তসহ অন্যদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ মোস্তফার দোকান এলাকায় আবুল কালাম জহিরকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।