কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কয়েক দিনের বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, সংকোষ ও কালজানিসহ সব কটি নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এতে দুধকুমার নদের দুই পাশের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। গত দুই দিনে দুধকুমার নদের পানি ৭৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী মানুষদের মাঝে বন্যা ও ভাঙনের আশঙ্কা বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত দুধকুমার নদের পানি ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতের অরুণাচল, আসাম, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের ওপর বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই কারণে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।
দুধকুমার নদের পাড়ের বাসিন্দা আয়নাল হক, জুলহাস উদ্দিন ও আমজাদ বলেন, নদীর পানি বাড়লে ভয় বাড়ে। নদী ভাঙন কখন যে জায়গা-জমি, ঘরবাড়ি ভেঙে যায়।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সরকার বলেন, দুই দিন ধরে দুধকুমার নদের পানি বাড়ছে। নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় সেখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা হতে পারে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে।