পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে ধারদেনা করে আট মাস আগে দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন নাঈম নামে এক যুবক। সেখানে গিয়ে তিনি কাজ করে বাড়িতে টাকা পাঠানোও শুরু করেছিলেন। তাঁকে ঘিরে স্বপ্ন বুনছিল পরিবার। সেই স্বপ্নের শুরুতেই একটি খবরে অন্ধকার নেমে আসে পরিবারটিতে। সৌদি আরবে কাজ থেকে ফেরার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন নাঈম।
নাঈম কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পৌর সদরের চালিয়াগোপ গ্রামের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি মেজো। গত রোববার সৌদি আরবে কাজ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন তিনি।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আকন্দ নাঈম নামের ওই প্রবাসীর মৃত্যুর খবর আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
নাঈমের বাবা শহীদ মিয়া বলেন, ‘ছেলের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছিলাম। এমন হবে জানতে পারলে কখনোই বিদেশে পাঠাতাম না।’ ছেলের লাশ দ্রুত দেশে ফেরত আনতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
নাঈমের বাবা আরও জানান, আট মাস আগে ধারদেনা করে ছোট ছেলে নাঈমকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। এর পর থেকে নিয়মিত সেখানে তিনি কাজ করে বাড়িতে টাকা পাঠাতে শুরু করেন। এতে ধীরে ধীরে ধারদেনা পরিশোধ করতে থাকে পরিবার। এরই মধ্যে গত রোববার বিকেলে কাজ থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন নাঈম। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় তাঁর। গতকাল সোমবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে ফোন করে পরিবারকে নাঈমের মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়েছে।