গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কিশোরগঞ্জ হাওরাঞ্চলসহ ঘোরাউত্রা ও ধনু নদীতে পানি বেড়ে গেছে। এতে ডুবে গেছে হাওরের বেশিরভাগ ডুবো সড়ক ও ফেরিঘাট সংযোগ সড়ক। এ কারণে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর হাওরাঞ্চলের তিন উপজেলার ৬টি ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করিমগঞ্জের বালিখোলা ও চামড়াঘাট, মিঠামইনের শান্তিপুর ফেরিঘাট, ইটনার বড়িবাড়ি ও বলদা, বাজিতপুর পাটুলী ফেরিঘাটের মাধ্যমে জেলা শহর কিশোরগঞ্জের সাথে হাওরাঞ্চলের মানুষের ছয়-সাত মাস সড়ক যোগাযোগ করা হয়। হাওরে পানি বেড়ে সংযোগ সড়ক ডুবে যাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে। এতে বিপত্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফেরি বন্ধ থাকায় ছোট ছোট নৌকায় করে ঘোরাউত্রা ও ধনু নদী পার হয়ে জেলা শহরে আসছেন হাওরাঞ্চল বাসী।
কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হাওরাঞ্চলে সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও, বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
অষ্টগ্রাম উপজেলার পূর্ব অষ্টগ্রামের বাসিন্দা কবির হোসেন (৪২) বলেন, আজ ভৈরব যেতে হুয়ামুনপুর ফেরিঘাটে এসে দেখি ফেরি চলাচল বন্ধ। রাস্তা শুকনো থাকলেও ফেরি পল্টন সংযোগ সড়কে পানি। গত ৭ / ৮ মাস খুব সহজে আমরা ফেরি দিয়ে নদী পার হয়ে গাড়িতে শহরের যাওয়া-আসা করতে পারতাম। এখন নৌকা দিয়ে বেশি খরচ ও সময় ব্যয় করে করে শহরে যেতে হবে। মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের আফরিন বেগম (৩৪) বলেন, হাওরে পানির কারণে ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। আগে মিঠামইন থেকে বালিখোলা যেতে সময় ও খরচ কম হতো। এখন খরচ ও সময় বেশি লাগছে, সাথে ভোগান্তি। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে ভয়ে বালিখোলা থেকে আসছি।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, পানি বৃদ্ধির কারণে হাওরাঞ্চলের অনেক ডুবো সড়ক ও পল্টন সংযোগ বিছিন্নের কারণে ৬টি ফেরিঘাটের সবগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে হাওরের সাথে জেলার সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।