কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ভাগলপুর ও সরারচর রেলস্টেশনের কাউন্টারে টিকিট পাচ্ছে না বলে অভিযোগ সাধারণ যাত্রীদের। তবে কাউন্টারে টিকিট না পাওয়া গেলেও স্টেশনের ভেতরে-বাইরের দোকানগুলোতে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অতিরিক্ত টাকায় ট্রেনের টিকিট বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন সরারচর রেলস্টেশনে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন মধ্যবয়সী যুবক দাঁড়িয়ে আছেন কাউন্টারের সামনে। তাঁরা আজকের পত্রিকাকে জানান, স্ট্যান্ডিং টিকিট নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের একজন জানালেন, দুই দিন আগে তিনি টিকিট নিতে এসেছিলেন, তখন কাউন্টার মাস্টার সাফ জানিয়ে দেন টিকিট শেষ। দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই।
ট্রেনেই ঢাকায় নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন শওকত আলী খান নামের এক ব্যক্তি। তিনিও সেখানে অপেক্ষা করছেন। প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তিন-চার বছর আগে ২০-৫০ টাকা বেশি দিলে কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যেত। এখন আর কাউন্টারে টিকিট মেলে না। টিকিট পাওয়া যায় চা-বিড়ির দোকান, স্টেশনের কনফেকশনারিতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাজিতপুরে দুটি স্টেশনের ৭৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয় কালোবাজারিদের হাত দিয়ে। ভাগলপুর, সরারচর রেলওয়ে স্টেশনের কিছু অসাধু কর্মচারীর মাধ্যমে কাউন্টারের টিকিট চলে যায় বাইরে। কালোবাজারিরা বেশি দামে সেসব টিকিট বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সরারচর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সেলিম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ট্রেনের টিকিট অর্ধেক অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হয়। কালোবাজারিরা সেখান থেকে টিকিট সংগ্রহ করে দোকানদারের মাধ্যমে বেশি দামে বিক্রি করে। আমাদের রেলওয়ে কর্মকর্তা মো. শওকত জামিল মহসিন স্যার কিছুদিন আগে ১৬টি টিকিটসহ স্থানীয় দোকানদার মো. জয়নাল আবেদীনকে আটক করেছিলেন।’
টিকিট কালোবাজারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বাজিতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রেলস্টেশন জিআরপি পুলিশের অধীনে। তারা চাইলে আমরা তাদের সহযোগিতা করব। রেলস্টেশনের বাইরে কোনো দোকানে ট্রেনের টিকিট বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’